ডেরেক ওয়ালকটের দশ কবিতা / অনুবাদ > মুম রহমান / মাসুদুজ্জামান
প্রকাশঃ March 19, 2017

মুম রহমান অনূদিত পাঁচ কবিতা
কালো আগস্ট
এতো বেশি বৃষ্টি, এতো বেশি প্রাণ যেন এক স্ফিত আকাশ
এই কালো আগস্টে। আমার বোন, সূর্য
তার হলুদ কক্ষে ধ্যানে মগ্ন এবং বের হবে না আজ।
সব কিছুই নরকে চলে যায়; পাহাড় বাষ্প হয়ে যায়
একটা কেতলির মতো, নদী উপচে পড়ে; তখনও
সে জেগে ওঠবে না এবং বৃষ্টি থামায় না।
সে তার কক্ষে, পুরনো জিনিস ভাঁজ করে,
আমার কবিতারা, তার এলবামের পাতা ওল্টায়। এমনকি বজ্রপাত হলেও
আকাশের উপর থেকে ভাঙা থালার মতো।
সে বেরিয়ে আসে না।
তুমি কি জানো না আমি তোমাকে ভালবাসি কিন্তু আমি অসহায়
এই বৃষ্টি থামানোতে? আমি ধীরে ধীরে শিখছি
অন্ধকার দিনকে ভালবাসতে, এই বাষ্পীয় পাহাড়,
গুঞ্জরিত মশাদের ভিড়ে ভরা এই বাতাস,
এবং তিক্ত ওষুধে চুমুক দেয়া,
যাতে করে যখন তুমি উদিত হবে, বোন আমার,
এই বৃষ্টিরমালা ছিন্ন করে
তোমার পুষ্প ভরা কপাল আর ক্ষমা ভরা চোখ নিয়ে
সবকিছু আগের মতো থাকবে না, কিন্তু সেটাই সত্য হবে
(তুমি দেখো ওরা আমাকে ভালোবাসতে দেবে না
যেমনটা চাই), কারণ, বোন আমার, তারপর
আমি হয়তো কালো দিনগুলোকে ভালোবেসে ফেলবো ফর্সা দিনগুলোর মতোই,
কালো বৃষ্টি, সাদা পাহাড়, যখন একবা
আমি কেবল আমার সুখ আর তোমাকেই ভালবাসি।
ঝড়ের পরে
এতো এতো দ্বীপ আছে!
রাত্রির আকাশের অগণন তারার মতো দ্বীপ
গাছের শাখার উপর যেখানে উল্কারা বিস্ফোরিত
যেন মাস্তুল-তোলা জাহাজ ঘিরে ঝরে পড়া ফল সব।
কিন্তু সব কিছুই ঝরে পড়ে, এবং সবসময় এমনই হয়ে আসছিলো,
একহাতে শুক্র আর অন্যহাতে মঙ্গল;
ঝরে পড়ে এবং আরো একটি, ঠিক এই পৃথিবীর মতো
দ্বীপ যেন পুঞ্জিভূত নক্ষত্র বলয়ে এক তারা।
আমার প্রথম বন্ধু ছিলো সমুদ্র। এখন, সে-ই শেষ।
আমি এখন কথা বলা বন্ধ করি। আমি কাজ করি, তারপর পড়ি,
মাস্তুলের হুকে ঝোলানো লণ্ঠনের নিচে পড়ি।
আমি ভুলতে চেষ্টা করি সুখ কী ছিলো,
এবং যখন সেটা আর কাজ করে না, আমি তারাদের পাঠ করি।
কখনো কেবলি আমি এবং নরম কাঁচি-কাটা ফেনা
যখন ডেক সাদা হয়ে ওঠে আর চাঁদ উন্মুক্ত হয়
দরজার মতো একটি মেঘ এবং আমার উপর আলো
সাদা চাঁদের আলো একটা রাস্তার মতো আমাকে বাড়ি নিয়ে যায়।
সেবাইন গান গায় সমুদ্রের গহন থেকে।
[সেবাইন এক মিশ্ররক্তের নারী। শ্বেতাঙ্গও কৃষাঙ্গের মিলিত বংশধর। তবে সে বড় গরীব। গরীব ও মিশ্র রক্তের হওয়ার তাকে নিয়ত পরিহাসের শিকার হতে হয়। ডেরেক ওয়ালকটের নানা কবিতায় সেবাইনের কথা বহুবার এসেছে।]
মুষ্ঠি
মুষ্ঠি আমার হৃদয়কে চারিদিক থেকে দৃঢ়ভাবে আটকে ধরে
একটু আলগা করে, এবং আমি হাঁপ ছাড়ি
উজ্জ্বলতার; কিন্তু সে চেপে ধরে
আবার। কখন আমি আর ভালোইবাসিনি
ভালবাসার বেদনাকে? কিন্তু সেটা সরে যায়
অতীত প্রেম থেকে বাতিকগ্রস্ততায়। ওর আছে শক্তিশালী
মুষ্ঠি পাগলা লোকটির মতো, ও
গ্রাস করে অকারণের স্তর, তার আগে
নিমজ্জিত আর্তনাদ করে অতলে।
তাহলে শক্ত করে ধরো, হৃদয়। এইভাবে অন্তত তুমি বাঁচতে পারবে।
প্রবাল
এই প্রবালের অনিচ্ছুক-আলিঙ্গন প্রতিধ্বনি তোলে হাতে
গর্ত করে ফেলে। এর
তাৎক্ষণিক অনুপস্থিতি ভারী। যেন ঝামা-পাথর,
সমুদ্র-শীতল, ওর স্তনবৃন্ত বালির মতো কর্কশ
ওর লোপকূপ, তোমার মতোই, ছিলো নোনা ঘামে উজ্জ্বল।
শরীর তার অনুপস্থিতিতে নিজের ওজন পাল্টায়,
আর তোমার ¯িœগ্ধ শরীর, অন্য কারো মতো নয়,
এই পাথরের মতোই এক যথার্থ অনুপস্থিতি সৃষ্টি করে
যা এই টেবিলের শ্বেত তাকের উপর বসানো
স্যুভেনিয়র হিসাবে। ও আমার হাতকে আহ্বান করে
তাই দাবী করে যা কোন প্রেমিকের হাত জানেনি কখনো :
অন্যের শরীরের প্রকৃতি।
সমাপ্তি
বস্তুনিচয় ফেটে পড়ে না তো
তারা ব্যর্থ হয়, মিলিয়ে যায়,
যেমন মাংস থেকে সূর্যের আলো মিলিয়ে যায়
যেমন করে ফেনা দ্রুত নিসৃত হয় বালুতে
এমনকি ভালবাসায় আলোকিত গঞ্জিকারঞ্জন
এর নেই বর্জ্রনিনাদময় সমাপ্তি,
সে মরে শব্দের সাথে
ফুলের বিলিনতায় ঠিক মাংসের মতো
ঘামময় ঝামাপাথরে,
সবকিছু এভাবেই আকৃতি পায়
যতোক্ষণ আমরা চলে না যাই
সেই নিরবতা নিয়ে যা বিটোভেনের মগজে ঘিরে আছে।
মাসুদুজ্জামান অনূদিত পাঁচ কবিতা
চে
এই যে ধুসর-কালো খবরের ছবি, প্রখর দৃষ্টি
ঠিক যেন কারাভাগের আঁকা ছবি,
তাঁর মোম-শাদা মরদেহ জ্বলজ্বলে, ঠাণ্ডায় পাল্টে যাচ্ছে-
এর পাষাণখণ্ড বলিভিয়ার ভারতীয় কশাইয়ের টুকরো-
মোমের মতো মাংস মার্বেলের মতো
শক্ত না হওয়া অব্দি এখনও তাকিয়ে
ঢুকে পড়ছে শিরায় শিরায়, শাদা আন্দীয় লোহা;
তোমার নিজের ভয় থেকে, বেজন্মা তুমি দেখ
ওই দেহ কীভাবে ধুসর হয়ে পড়ছে;
তোমারই সন্দেহের কারণে টলছে, তোমার ক্ষমায়
বাদামী ছাই হয়ে পুড়ছে, দূর বরফের ভেতরে ছড়াচ্ছে সুগন্ধ।
নির্বাসনে যাওয়ার প্রস্তুতি
এই যে হলুদাভ নারকেলের স্তূপ,
কেন আমি এসবের মাঝে থেকে মান্দেলস্তামের মৃত্যুর কথা ভাবছি,
কেন আমার উপহার এরই মাঝে তার কাঁধের ওপর দিয়ে
একটা দরোজা জুড়ে ছায়া হয়ে আছে আর
এই পৃষ্ঠা ছেড়ে পেরিয়ে যাচ্ছে কোন সূর্যগ্রহণে?
চাঁদ কেন উজ্জ্বল প্রদীপের মতো এতটা দীপময়
আর আমার হাতে এই যে কালির ছিটা
কাঁধ ঝাকানো কোনো পুলিশ সার্জেন্টের সামনে
বুড়ো আঙুলে জড়িয়ে কেন নিচু হতে চায়?
বাতাসে এ কোন অদ্ভুত নতুন সুবাস
একদা যা ছিল কেবলি নুন, দিন শুরু হলে তা থেকেই
পাচ্ছি চুনের ঘ্রাণ
আর আমার বিড়াল, আমি জানি এ শুধু কল্পনা,
পথে পথে ছড়াচ্ছে আঘ্রাণ,
আমার শিশুদের চোখ এরই মাঝে দিগন্তে প্রসারিত,
আর আমার সমস্ত কবিতা, এমনকি এই কবিতাও, কী এমন লুকাতে চায়?
ভালোবাসা ভালোবাসা
সময় আসবে
যখন তুমি হরষিত মনে,
নিজের বাড়ির দরোজায় পৌঁছুবার জন্যে
নিজেকেই অভিনন্দিত করবে, তোমার আয়নায়
একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে হাসবে
আর নিজেদেরকে জানাবে স্বাগত,
বলবে, এইখানে বসো, খাও-দাও।
তুমি আবার সেই আগন্তুককে ভালোবাসবে যে আসলে তোমারই সত্তা।
তাকে দাও মদ। দাও রুটি। তাকেই ফিরিয়ে দাও
তার হৃদয়, সেই আগন্তুককে দাও সবকিছু
যে তোমাকে ভালোবেসেছিল
সমস্ত জীবন ধরে, যাকে তুমি অন্য কারুর জন্য শুধু
অগ্রাহ্যই করে গেছ, সেই তোমাকে হৃদয় দিয়ে জানে।
বুকসেলফ থেকে প্রেমের চিঠিগুলি নামিয়ে আন,
সেই ফটোগুলি, দুরন্ত লেখাগুলি,
আয়না থেকে সরিয়ে দিচ্ছে তোমার নিজেরই প্রতিবিম্ব।
বসো। জীবনকে তুমি উপভোগ কর।
ভুতুড়ে শান্তির ঋতু
তখন সমস্ত জাতির পাখিগুলো সবাই একসঙ্গে তুলে ধরলো
এই পৃথিবীর ছায়া দিয়ে তৈরি বিশাল একটা জাল,
নানা উপভাষায় কথা বলছে ওরা, কিচিরমিচির, নড়ছে জিভ
সেলাই করছে এ-ফোঁড় ও-ফোঁড়। ওরা তুলে ধরলো উঁচুতে
দীর্ঘ পাইনের ছায়াগুলো, গড়িয়ে পড়ছে ঢালু বেয়ে, পথহীন,
সন্ধ্যার সড়কে নামে কাচকাটা টাওয়ারের ছায়া,
শহরের মুখে নলখাগড়ার ঝোঁপ –
জাল উঠছে শব্দহীন রাত্রির মতো, পাখি কাঁদে শব্দহীন,
যতক্ষণ না গাঢ় হয় সন্ধ্যা অথবা ঋতু, ক্ষয়, শুধু এই ভুতুড়ে আলোর পথ
নয় ক্ষীণ ছায়া অপসৃয়মান।
আর মানুষ দেখে না, তাকায় না ওপরে কী যে আঁকে বনহংসের দল,
রূপোর রেখা তৈরি করে পেছনে পেছনে আসে বক
বরফ-সূর্যালোকে তারই বিচ্ছুরণ; তারা শুনতে পায় না
ধ্বনি তুলতে তুলতে ঝাঁক ঝাঁক পাখি কাঁদছে শান্তিকান্না,
জাল তুলে ধরছে আরও উঁচুতে, ফলবাগানের আঙুর দিয়ে ঢেকে ফেলছে
এই পৃথিবী, অথবা মা ঘুমহীন শিশুর কম্পমান চোখের ওপর দুলিয়ে দিচ্ছে
স্বচ্ছ ওড়না;
সেদিন তখনো ছিল আলো
সন্ধ্যায় তুমি দেখতে পাবে পাহাড়ের পাশে
হলুদ অক্টোবর, কেউ শোনেনি, জানেনি
দাঁড়কাকের কা কা চিৎকাওে কি কি বদলে যাচ্ছে
প্যাঁচার তীক্ষ্মস্বর, অগ্নিচক্র, লালপেয়ে কাক
এত বেশি, শব্দহীন ক্ষেতখামার আর নগরেই থাকে এইসব পাখি
যদি চলে না যায় ঋতু, প্রেম
সে তো ঋতুহীন, অথবা জন্মের কারণেই পেয়ে যায় সব,
যার পাখা নেই বেদনার চেয়েও সে উজ্জ্বল
নিচে ঘর ও জানালার গাঢ় অন্ধকার জড়াজড়ি, গহ্বর
আর উঁচু শব্দহীন কলকণ্ঠে তারা তুলে ধরছে জাল
সবকিছুর পরিবর্তন শেষে, বিশ্বাসঘাতী পতনপ্রবণ সূর্যগুলো
আর এই ঋতু থাকবে একমুহূর্ত মাত্র, নৈঃশব্দ্য যেন
সন্ধ্যা আর অন্ধকারের মাঝে, ক্রোধ আর শান্তির মাঝে,
তবে এই পৃথিবী এখন এমন যে, টিকে আছে অনেক দিন।
আন্না
এখনো স্বপ্ন দেখি, এখনো সুদূর
বৃষ্টিমগ্ন ভোর আসে, মুখচ্ছবি,
বুঝিবা তোমার অনামা ধূমল
স্কুলবালিকার মতো, কী যে শাস্তি তুমি পেলে।
সেই থেকে মাঝে মাঝে হাস্যোজ্বল,
হাসির আড়ালে ক্ষমা, বিস্মরণ।
বোনেরা যখন ঘিরে থাকে তখন তুমি মধ্যমনি
ওরা সব সেই ভেবে গরিমাউজ্জ্বল, ঘিরে থাকে
নিন্দার কাঁটা থেকে ফুঁসে ওঠে গভীর কবর, ভুল
কোন ক্ষত বয়ে আনো তুমি আন্না,
বৃষ্টিঋতু আসে, মুখরিত চারিদিক
আধেক বছর সরে গেছে কতদূর, পিছে চিহ্ন আঘাতের
গুড়ি গুড়ি তবু নামে শ্রান্তবিধুর।
তারপর চলে গেছে বিশটি বছর
আরও এক যুদ্ধ শেষে, কোথায় গিয়েছে সেই সব খাঁচা?
লজ্জাহীন ঋতু তবু আসে, আামদের একই শরত
তোমার নিবিড় কেশদাম
নিভিয়ে দিয়েছে তার সমস্ত আগুন
আর দৃষ্টি তুলে অগণন ছবি
আজও সব স্বচ্ছ, আজও স্বচ্ছহীন
ঐা ছিল শুধুই সাধারণ
নিসর্গের সঙ্গে তাও মেতে ওঠে প্রতিহিংসা পরায়ণ
কূটবুদ্ধি জানিয়ে দেয় বস্তুতথ্য
প্রতিটি পঙক্তির শেষে হাসিটা তোমারই
নিষ্প্রাণ ছবির মতো স্থির।
এই চুল, তারই মাঝ দিয়ে আমি চলে যেতে পারি রাশিয়ার গমক্ষেতে
হাত দু‘টি তখনো নামানো, নাশপাতি পেকে ওঠে
আর তুমি হয়ে ওঠো অন্য এক দেশ।
তুমি আন্না গমক্ষেত, জলাভূমির
তুমি আন্না গাঢ় শীত বর্ষণের
ধূমল প্ল্যাটফর্ম আর ঠাণ্ডা ট্রেনের
তুমি আন্না অনুপস্থিত যুদ্ধের
তুমি আন্না কুয়াশাঘন স্টেশনের
চলে গেছ জলাভূমির প্রান্ত ছুঁয়ে
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এড়িয়ে
তোমার শরীরে তাই হাঁসের কুঞ্চন
আন্না, তুমি প্রথম সবুজ পদ্য
ধীরে ধীরে পাথর,
নত স্তন পক্ববিম্বাধর
আন্না তুমি হঠাৎ পরাজয়, দীর্ঘ মরাল
সূঁচফোটা আঙুলে নুন, স্নানহাসি
আজও তুমি গভীর আঁধারবাড়ি,
ধূমল খাঁচার ভেতর থেকে তুলে ধরছো আমার হাত
আর ছুঁয়ে দিচ্ছ তার স্তন
স্বচ্ছ সেই চোখ।
তোমরা সবাই আন্না
সমস্ত বিদায় শেষে তোমার শরীরকেন্দ্র
ক্রিস্টি, ক্যারেনিনা কী যে দীর্ঘ, নিঃসার
এভাবেই জীবন তোমাকে দেখি উপন্যাসের পাতায় পাতায়
তোমার চেয়েও সত্যি তারা, তোমাকেই তবু
আরও আগে বেছে নিয়েছেন তিনি
একথা নিজেই তুমি জানো, তুমি, জানো।
আত্মপ্রতিকৃতি
ভ্যান গঘের একাকীত্ব।
ভ্যান গঘের বিনত স্বভাব।
ভ্যান গঘের সন্ত্রাস।
আয়না দেখছে সে,
আর আঁকতে থাকলো নিজেকেই।
আবিষ্কার করলো কেউ নেই সেখানে,
আছে শুধু ভ্যান গঘ।
এখানেই শেষ নয়।
সে তার কান কেটে ফেললো।
আয়নার দিকে তাকালো :
আয়নায় ভিনসেন্ত ভ্যান গঘ
কানে ব্যান্ডেজ।
এর সঙ্গে তার আত্মপ্রতিকৃতির মিল আছে,
সে চাইছে নিজের অস্তিত্বকে দেখাতে,
প্রথমে, সেই জন্য তাকে সরে যেতে হবে,
নিজেকে নিশ্চিহ্ন করে সে ফিরবে
সমস্ত সন্ত্রাস ছাড়িয়ে
নিঃসঙ্গ করে তুলবার পথ ধরে
আয়নায় যখন প্রতিবিম্ব পড়বে
থাকবে না কোনো খ্যাতি বা কষ্ট,
থাকবে না হা অথবা না
অথবা হতে পারে, একবার,
অথবা কখনই নয়। কেউ নেই সেখানে
ভিনসেন্ত ভ্যান গঘও নয়,
কী নমিত, আতঙ্কিত আর একা,
শুধু
একটা গল্প। নির্যাস।